স্বদেশ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত লড়াই করেই হেরেছে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত একটা দারুণ লড়াই। যা মন ভাল করে দিতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
রানের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই যে কোনও দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তার পর ফল যাই হোক না কেন।
বৃহস্পতিবার (২০জুন) ট্রেন্ট ব্রিজে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া যখন থামে তখন তাঁদের নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ৩৮১-৫।
ডেভিড ওয়ার্নার ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর এক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ৫১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
তবে ততক্ষণে শক্ত ভিত তৈরি করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। যে রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন তো বটেই। তার মধ্যেই ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম।
কিন্তু অল্পের জন্য জয়ের রাস্তায় হাঁটা হল না। ৫০ ওভারে ৩৩৩-৮-এ থামল বাংলাদেশ।
সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের।
ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।
ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার।
ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।
আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।
শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৯৭ বল খেলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন মুশফিক।
এর আগে, ওপেনিং পার্টনারশিপে ১২১ রান করার পর হাল ধরেন উসমান খোয়াজা। তাঁর ব্যাট থেকেও আসে ৮৯ রান। ৩২ রানের ইনিংস খেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে প্যাভেলিয়নে ফেরান সৌম্য সরকার।
কিন্তু সেটা অস্ট্রেলিয়ার বড় রানকে আটকাতে পারেনি। রান আফট হন ম্যাক্সওয়েল। আর একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ সাময়িক বন্ধ হয়ে গেলেও ওভারের উপর প্রভাব পড়েনি। ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৮১-৫-এ।